একাধারে তিনি একজন মডেল, অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা ও আইনজীবী। এ ছাড়া তার আরও অনেক পরিচয় রয়েছে। তিনি হলেন পিয়া জান্নাতুল। মিডিয়ার থেকে এখন তাকে হাইকোর্টের বারান্দাতেই বেশি দেখা যায়। সম্প্রতি ব্যারিস্টার ও সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পেছনে দাঁড়িয়ে মুখ চেপে হাসি দিয়ে আলোচনায় পিয়া জান্নাতুল।
সম্প্রতি সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিভিন্ন ইস্যুতে গণমাধ্যমকে কথা বলছিল, সহকর্মী হিসাবে পাশেই ছিলেন এই আইনজীবী প্রিয়া। সেখানে তাঁর মুচকি হাসিতে ঘায়েল নেটিজেনরা। ভিডিও ক্লিপটি নিয়ে বানানো হচ্ছে রিলস, মিম আর ভিডিও।
যাকে নিয়ে এতো হইচই, তাঁর কানেও গিয়েছে বিষয়টি। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ, আমি বুঝি, যারা দুই সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে এক সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।’
ভিডিওটি দেখে অনেক তরুণ যেন পিয়ার প্রেমে বুঁদ হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, যাঁরা কনটেন্ট বা রিলস তৈরি করছেন, বেশির ভাগই তরুণ-যুবক। তাঁদের আসলে জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।'
তিনি বলেন, 'আসলে এগুলো ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে, যখন যে ট্রেন্ড আসে, সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।’ পিয়া জান্নাতুল ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করেন। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে ২০০৮ সালে। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়াও মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন পিয়া। ২০১২ সালে চোরাবালির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক। ২০১৩ সালে বাহরাইনে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্সেস’ প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন তিনি। এছাড়া দিল্লি, প্যারিস, নিউইয়র্কের মতো বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত ফ্যাশন উইকেও অংশ নিয়েছেন পিয়া।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সাইফুল ইসলাম
কর্পোরেট অফিস : ৩৪৩ উত্তর নয়ানগর, কোকাকোলা রোড, বারিধারা ব্লক - জে, ভাটারা, ঢাকা ১২১২
মোবাইল : ০১৭৪১০০৩৫১১, ০১৭৪১০০৩৫১৭
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত